জাহাজে চড়ে ভাসানচরের পথে আরও ১৭৭৮ রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাজে ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গারা
ফাইল ছবি

তৃতীয় দফায় স্থানান্তরের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া থেকে আসা ১৭৭৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশে যাচ্ছেন এসব রোহিঙ্গা। দুপুর নাগাদ তাদের ওই দ্বীপে গড়ে তোলা আশ্রয়ন প্রকল্পে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

universel cardiac hospital

ভাসানচরে যাওয়ার জন্য সকালে লাইন করে জাহাজে ওঠেন রোহিঙ্গারা। জাহাজে ওঠার সময় শাহাবুদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা জানান, ভাসানচরে সুযোগ-সুবিধা বেশি বলে সেখানে থাকা ভাইয়েরা তাকে জানিয়েছেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তারা সবাই স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যান। এবার তৃতীয় দফায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন।

শুক্র ও শনিবার দুই দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি রয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।

গতকাল ৩৮টি বাসে করে অন্তত ৩৫৩ পরিবারের ১ হাজার ৭৮৭ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয়। আজ আরও ১ হাজার ৩০০ জনকে চট্টগ্রামে আনা হবে। সেখান থেকে তাঁদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে।

শেয়ার করুন