এইচএসসি ও সমমানের ফল আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচএসসি
ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘোষণা করা হবে। ফল প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হবেন।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

universel cardiac hospital

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সিদ্ধান্ত জানান।

সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কী পদ্ধতিতে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে সেটি নির্ধারণ ও পরামর্শের জন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শিক্ষা বোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। তাদের আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে। এর ভিত্তিতে ডিসেম্বরে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এরপর ২৫ নভেম্বর আয়োজিত আরেক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসির ফল নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়েই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এসএসসির ফল ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। এর আলোকেই ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে সেদিন জানান মন্ত্রী। তবে আইনি জটিলতার কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

আইনি জটিলতা নিরসনে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়। সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ সহ তিনটি বিল পাসের জন্য উত্থাপন করেন। পরে সেগুলো কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পাসের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিলটি পাসের পর প্রজ্ঞাপন করতে দুদিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করব।

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ডা. দীপু মনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারির কারণে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনা জারির বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।

শেয়ার করুন