ওবামাকেয়ার চালু করতে নির্বাহী আদেশে সই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ওবামা-বাইডেন
ওবামা-বাইডেন। ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ‘ওবামাকেয়ার’ ফের চালু করার জন্য নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘এনরোলমেন্ট অন দ্য ফেডারেল অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট এক্সচেঞ্জেস’ চালু করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

universel cardiac hospital

ফলে এটি ওবামাকেয়ার নামে পরিচিতি লাভ করে। ক্যাপিটল তাণ্ডবের পর মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জন্য বাড়তি সুরক্ষার দাবি করেছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া থেকে রাশিয়া ও তুরস্কের সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন।

ধনীরা ও রিপাবলিকানরা প্রথম থেকেই ওবামাকেয়ারের বিরোধিতা করে আসছিল। ২০১৭ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর নির্বাহী আদেশ দিয়ে ওবামাকেয়ার বন্ধ করে দেন। এটি আবারও ফিরিয়ে আনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল বাইডেনের।

বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরের আগে বাইডেন বলেন, ‘আজ আমি দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। একে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা বললে ভালো বলা হবে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা, যা ট্রাম্প করে গেছেন।’ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন কংগ্রেস সদস্যদের বাড়িতে সুরক্ষা প্রয়োজন। কারণ তারা আক্রমণের শিকার হতে পারেন।

ক্যাপিটল হিলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শত্রু যখন চার পাশে তখন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন। এমন সময় বাড়তি নিরাপত্তার কথা বললেন পেলোসি যখন ক্যাপিটলে অস্থায়ী কাঁটাতারের বেষ্টনী বসানো হচ্ছে।

৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় বিভিন্ন আইনপ্রণেতাকে হুমকি দেয় দাঙ্গাকারীরা। এমনকি ‘মাইক পেন্স’ কোথায় বলে হত্যার জন্য নিজেদের ভাইস প্রেসিডেন্টকে খুঁজতে থাকে তারা।

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে তুর্কি ও রুশ বাহিনীকে সরিয়ে নিতে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নতুন মার্কিন প্রশাসন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস বলেন, ‘লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং দেশটিতে সব ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ দ্রুত বন্ধ করতে রাশিয়া, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বাইরের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তিমতে আমরা তুরস্ক ও রাশিয়ার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং নিজেদের সমর্থিত বিদেশি ভাড়াটে, প্রক্সিগুলো অপসারণের আহ্বান জানাই।’

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত লিবিয়া।

শেয়ার করুন