শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সবাই যদি এটি মেনে চলেন তাহলে আমরা আরেকটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং খুব দ্রুতই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। আগামী মাসটা দেখবো। কারণ মার্চ মাসেই এই করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। আমরা ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখবো।যদি অবস্থা ভালো থাকে পরবর্তীতে আমরা সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব, আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে যেতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা নেব, এ ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের আছে। আমরা যত দ্রুত পারি এ ব্যবস্থাটা নেব।”
বক্তব্যে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিতের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। মহামারির মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সুরক্ষার কথা ভাবতে হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়ার জন্যই ব্যবস্থাগুলো আমরা নিতে বাধ্য হয়েছি।
‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা যথাযথ চেষ্টা করে যাচ্ছি। হয়ত আমরা যখন আরও বেশি সুরক্ষিত করতে পারব, অর্থাৎ এটা সারা বিশ্বব্যাপী একটা মহামারি…এটা থেকে যখন মানুষ মুক্তি পাবে তখন আবার যথানিয়মে ক্লাস হবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারবে। যারা প্রমোশন পাবে তারা আগামীতে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে, এবং পরবর্তী পরীক্ষার উপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে।’