করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১০ মাস ধরে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৩ মার্চ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে।
রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হলে অবস্থানের সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়া যাদের কোনো পরীক্ষা নেই তারা অবস্থান করতে পারবেন না।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির নিয়মিত সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্চের শুরুতে সীমিত পরিসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করা হয়।
ওই দিন প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, যেহেতু সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধুমাত্র অনার্স শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করেছে। এটি এখন ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে যাবে। সেখানে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, হল খোলা হলেও হলে যাদের রুম বরাদ্দ রয়েছে তাদের হলে নেয়া হবে। এর বাইরে আর কেউ হলে উঠতে পারবে না।
এছাড়াও আজকের সভায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এর কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। হল খোলার পর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০ মার্চ আবাসিক হলগুলো খালি করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও খোলা হয়নি হলগুলো।