সরকার দেশে সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার দক্ষতা নিশ্চিত ও যাচাইয়ের জন্য ‘ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুমোদন দিয়েছে।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে রোববার ‘বাংলাদেশ কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক’-এর স্টিয়ারিং কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় ‘ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক’ অনুমোদন হয়।
ইউজিসি জানায়,উচ্চশিক্ষার জন্য ইউজিসির ২০১৯ সালে প্রণীত ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক অব বাংলাদেশ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২০ সালে প্রণীত বাংলাদেশ কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে একটি অভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়। এটিকে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক’ হিসেবে অবিহিত করা হবে।
এই ফ্রেমওয়ার্কে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে দুটি অংশের মাধ্যমে মোট ১০টি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছে প্রি-ব্যাচেলর এডুকেশন (লেভেল ১- লেভেল ৬) এবং দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে হায়ার এডুকেশন (লেভেল ৭ থেকে লেভেল ১০)।
কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক অনুমোদন লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল তার কার্যক্রমে গতিশীলতা পাবে। প্রথম ভাগে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ধারার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনী সম্পন্ন করে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।
‘বাংলাদেশ কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক’-এর স্টিয়ারিং কমিটির সভায়, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী যুক্ত ছিলেন।