মিয়ানমারে অভ্যুত্থানে আমেরিকার নিন্দা, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান
ছবি : ইন্টারনেট

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারির নিন্দা জানিয়েছে আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। খবর আল জাজিরার।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমেরিকা প্রত্যাখান করছে। যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে আমরা অ্যাকশন নেব।’

universel cardiac hospital

অস্ট্রেলিয়াও এই সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে, তারা এই গ্রেফতারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন বলেছেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে আইনের শাসন মেনে চলতে আহ্বান জানায়। যেসব রাজনৈতিক নেতাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে, আমরা তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।’

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অর্থাৎ মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর দখলে। এছাড়া আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে দেশটির বড় শহরগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ‘টেকনিক্যাল সমস্যার’ কারণে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে আলজাজিরাকে আলি ফোউল জানিয়েছেন, ‘মনে হচ্ছে এটি সামরিক অভ্যুত্থানের শুরু। রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিখ্যাত রাজনৈতিক কর্মীদেরও আটক করা হয়েছে। মোবাইল এবং ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওর সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।’

মিয়ানমার রেডিও এবং টেলিভিশন তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ‘যোগাযোগ সমস্যার কারণে এমআরটিভি এবং রেডিওর নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তবে এ অবস্থায় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমি জনগণকে রুঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া না জানানোর অনুরোধ করব। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে।’

শেয়ার করুন