বেসরকারি চাল আমদানিতে এলসি খোলার সময় বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাল
চাল। ফাইল ছবি

বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খোলার সময় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সময় বাড়িয়ে রোববার (৩১ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এলসি খোলার শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য মোট ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত চাল আমদানির জন্য এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে (sasep@mofood.gov.bd) জানাতে হবে।

এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। চালের দাম দুর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে সোয়া ১০ লাখ টনের মতো চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে ৫ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ১ থেকে ১০ হাজার টন চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ইতিমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চাল যথাযথভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য ৮ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষে তার ব্যাংক রফতানিকারককে পণ্যমূল্য পরিশোধের যে নিশ্চয় দেয় সেটাই হচ্ছে এলসি বা ঋণপত্র।

শেয়ার করুন