করোনা আরেকটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস আরও একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

universel cardiac hospital

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। এরপর ২৮ জানুয়ারি সে প্রস্তুতি মনিটরিং বা পরিবীক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেবো। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে।

করোনার ভ্যাকসিন নিলেও সবাইকে মাস্ক পরে চলতে ও স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিশ্ব থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত করোনা চলে না যাবে ততদিন পর্যন্ত সবাই মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যারা করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদেরকেও মাস্ক পরে চলতে বলেছেন সরকারপ্রধান।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, প্রথম কারা করোনাভ্যাকসিন পাবেন সেটাও আমরা ঠিক করে ফেলেছি। করোনার ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন তাদের এখনও মাস্ক পরে থাকতে হবে, সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের যখন গবেষণা শুরু হয় তখনই আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলাম কারা কারা গবেষণা করছে আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভ্যাকসিন বাজারে এলেই আমরা ক্রয় করবো। এর জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাখি। যখনই বাজারে আসে তখনই ক্রয় করি। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে কথা বলেছিলেন। আসলে ভ্যাকসিন এসে নিজেই তার উত্তর দিয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা ক্রয় করেছি। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর খারাপ কোনো রিঅ্যাকশনের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আমরা মনিটর করছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এ নিয়ে দেশে প্রশংসা শুনিনি। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেছেন।

শেয়ার করুন