অনূর্ধ্ব-১৯ যুবদলে স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ ব্রেকের পাশাপাশি দারুণ ব্যাট করতেন তিনি।
কিন্তু জাতীয় দলে এসে ব্যাটিংয়ে খুব একটা পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। আজ সেই মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফর্মে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন মিরাজ। ১৬৮ বল খেলে ১০৩ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে সমাপ্ত হয়েছে টাইগারদের প্রথম ইনিংস।
আর তার শতকে ভর করে সব উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রানের পাহাড় জমা করেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের নভেম্বরের পর টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। সর্বশেষ ফিফটিটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তার ব্যাটে রান আসে। এরপর ১২ ইনিংসে মিরাজের ব্যাট কথাই বলেই। তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮।
আর আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উদার হয়ে উঠেছে এ অফ-ব্রেক বোলারের ব্যাট। ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ১৬০ বলে এ শতকের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ১৩ বাউন্ডারিতে এ শতক সাজিয়েছেন মিরাজ।
মিরাজের এ সেঞ্চুরিতে অবদান রয়েছে টেলএন্ডার তাইজুল ও নাঈম হাসান। ৭২ বল খেলে মিরাজকে রান বাড়িয়ে নিতে সাহায্য করেছেন তাইজুল।
তিনি নিজেও স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৮ রান। ১১৭ বলে মিরাজ-তাইজুল জুটিতে এসেছে ৪৪ রান।
শ্যানন গ্যাব্রিয়ালের বলে আউট হওয়ার পর মিরাজকে সঙ্গ দেন ২০ বছর বয়সী নাঈম হাসান। অনভিজ্ঞ নাঈমের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে ফেললেন তিনি। এর আগে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়েন মিরাজ।
প্রথমদিন লিটনের পর মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব। ১৫০ বলে ৬৮ রান করে কর্নওয়ালের বলে আউট হন সাকিব।