চালকের আসনে থেকেই প্রঞ্চম দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু ক্যাচ মিস আর রিভিও না নেওয়ায় এখন মাসুল গুনছেন তারা।
যেখানে হাফসেঞ্চুরিই করার কথা ছিল না ক্যারিবীয় মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্সের, সেখানে দুই-দুবার জীবন পেয়ে সেই ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করলেন তিনি।
মিরাজের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে হাফসেঞ্চুরিয়ান মায়ার্সের ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সে বলে পাওয়া সিঙ্গেল থেকে ফিফটি পূরণ হয় মায়ার্সের।
এর পর ইনিংসের ৫০তম ওভারে তাইজুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদেও পড়েছিলেন মায়ার্স। আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউও নেননি মুমিনুল।
পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, বলটি লেগস্টাম্পে আঘাত হানত। মায়ার্সকে দ্বিতীয় জীবন দিলেন মুমিনুল – এমনটিই বক্তব্য বিশ্লেষকের।
এমন ভুল মায়ার্সের বেলায়ই করেনি বাংলাদেশ। মুমিনুলদের রিভিউ ভুলে জীবন পেয়ে গেছেন এনক্রুমাহ বোনারও। নাঈম হাসানের শিকার হতে পারতেন বোনার।
ইনিংসের ৫৬তম ওভারে দুর্দান্ত টার্নিং ডেলিভারি দেন নাঈম। বলকে ঝুঝেই উঠতে পারেননি বোনার। সরাসরি গিয়ে আঘাত হানে বোনারের প্যাডে।
নাঈম আপিল করলেও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। এবারও রিপ্লেতে দেখা গেছে, নিশ্চিত আউট হতেন বোনার। বলটি লেগস্টাম্পে লাগত। ফলে মায়ার্সের মতো বোনারও বেঁচে যান।
আর সেই বোনার তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। চতুর্থ দিন করা ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মায়ার্স- বোনার জুটিতে তা দুইশ ছাড়িয়েছে।
এ জুটি প্রথম সেশনে ৩১ ওভার ব্যাটিং করে ৮৭ রান যোগ করেছে। গত দিনসহ এখন পর্যন্ত এ জুটির সংগ্রহ ১৭২ রান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩১ রান। ১৮৫ বল খেলে মায়ার্স অপরাজিত ১০৭ রানে। আর ১৯৮ বল খেলে ৬১ রানে খেলছেন বোনার।