আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যাতে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ তদন্ত না করতে পারে, এ জন্য সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে লেখা একটি চিঠিতে সই করেছিলেন তৎকালীন ডেমোক্র্যাট সিনেটর কমলা হ্যারিস।
২০২০ সালের মে মাসে মার্কিন সিনেটররা ওই চিঠি দিয়েছিলেন। এতে তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আইসিসি ফিলিস্তিনে চালানো ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের তদন্তভার পেলে তা ইহুদিবাদী দেশটির জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের এ প্রচেষ্টা বন্ধ করুক। চিঠিতে রিপাবলিকান দলের সিনেটর ছাড়াও অনেক ডেমোক্র্যাট সিনেটরও স্বাক্ষর করেন ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য।
১০০ সিনেটরের মধ্যে ৬৭ জন ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে মাইক পম্পেওকে ওই চিঠি পাঠান। কমলা হ্যারিস ছাড়াও চিঠিতে সই করা প্রভাবশালী সিনেটরদের মধ্যে ছিলেন ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট সিনেটর বেন কার্ডিন ও ওহিও রাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর রোব পোর্টম্যান।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফেতৌ বেনসৌদা ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করার ছয় মাস পর মার্কিন সিনেটররা ইসরাইলের পক্ষে ওই অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, ইসরাইল তার পক্ষে লবিং করার জন্য বরাবরই মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে থাকেন মার্কিন সিনেটরদের। এ কারণে যুগের পর যুগ ধরে ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে এলেও জাতিসংঘে ইসরাইলবিরোধী যে কোনো পদক্ষেপ ভেটো দিয়ে বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার জারি করা এক রুলে আইসিসি জানিয়েছে, ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম এখন থেকে এ আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে আনা হয়েছে।
এ রুলের কারণে এখন থেকে আন্তর্জাতিক এ আদালতে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে পারবে ফিলিস্তিনি সরকার।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় নির্বিচারে শিশুহত্যা থেকে শুরু করে স্থানীয়দের জমিদখল করে সেখানে অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে আসছে ইসরাইল।