পাবনার চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরের মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রাম। ওই গ্রামের চার বসতবাড়িতে ৪০টি মৌচাক রয়েছে। মৌমাছির কামড়ের ভয়ে এরই মধ্যে একটি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে বসবাস করছে আত্মীয়ের বাড়িতে।
এদিকে, কখন কে মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হয় এই আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এমনই চিত্র পাবনার চাটমোহর উপজেলার শাহপুর গ্রামের।
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই গ্রামের চারদিকে ফসলের মাঠ। গ্রামের রাস্তার পাশে ইস্তার আলীর বাড়ির কার্ণিশ-জানালা মিলে অন্তত ১০টি এবং পাশাপাশি আবদুল মজিদ ও জাকির হোসেনের বসত বাড়ি ও বাড়ির ভেতরে আম গাছে ২০টি মৌচাক রয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে শাহপুর এলাকায় এ মৌচাকগুলো আছে। এর মধ্যে মৌমাছির কামড়ের ভয়ে জাকির হোসেন বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বাস করছেন।
অন্যদিকে, শাহপুর পূর্বপাড়া গ্রামে প্রবাসী আকরাম হোসেনের বসতঘরের সামনে ও বাগান মিলিয়ে অনন্ত ১০টি মৌচাক। এক গ্রামে এতগুলো মৌচাক থাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে অনেক শিশুই ঘর থেকে বের হতে বা খেলাধুলা করতে পারছে না। তবে ওই চার পরিবার মধু সংগ্রহ করে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি কিছু মধু বাজারে বিক্রি করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে গ্রামের আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘মাঠগুলোতে সরিষাসহ নানা ফসল আবাদের কারণে এভাবে মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে। মৌচাকগুলো দেখে ভালোই লাগে। কিন্তু কখন কে ঢিল ছোঁড়ে আর মৌমাছিরা শিশু বা পথচারীদের কামড়ে দেয় এই আতঙ্কে থাকতে হয়।’
প্রবাসী আকরাম হোসেনের স্ত্রী শিউলি খাতুন জানান, প্রায় ছয় মাসের মধ্যে মৌচাকগুলো থেকে দুই বার মধু সংগ্রহ করেছেন তারা। তবে দু-একটা মাঝে মধ্যে কামড় দিলেও মৌমাছিগুলো তাদের পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় এখানে মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে। এর আগে এই এলাকায় একসঙ্গে এত মৌচাক কখনোই দেখা যায়নি। সত্যিই এটা বিস্ময়কর।’