দেশব্যাপী কার্যক্রম শুরুর দিনে ৩১ হাজার ১৬০ জন নারী-পুরুষ নিয়েছেন করোনার টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার সকালে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল থেকে দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুরুতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা নেয়ার কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতি, সরকারের একাধিক মন্ত্রী, সচিবরা টিকা নিয়েছেন। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও টিকা নিয়েছেন প্রথম দিনে। সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি।
টিকা নেয়ার পর ২১ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তা গুরুতর নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, এদের হালকা ও স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে টিকা নেয়া ৩১ হাজার ১৬০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭, নারী সাত হাজার ৩০৩ জন। টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ।
ঢাকা মহানগরসহ এই বিভাগের ১৩ জেলায় নয় হাজার ৩১৪, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় ছয় হাজার ৪৩৪, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় তিন হাজার ৭৫৭, রংপুর বিভাগের আট জেলায় দুই হাজার ৯১২, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় তিন হাজার ২৩৩, সিলেট বিভাগের চার জেলায় দুই হাজার ৩৯৬, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এক হাজার ৪১২ ও ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় এক হাজার ৬৯৩ জন টিকা নিয়েছেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকার ৭০ লাক ডোজ সরকারের কাছে রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টিকা ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। বাকি ৫০ লাখ টিকা সরকার কিনেছে। এই টিকা ৩৫ লাখ মানুষকে দেয়া হবে। তবে শনিবার পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে করোনার টিকা দেয়া হয়। এর পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে টিকা দেয়া হয়।