সীমান্ত হত্যা: বিএসএফের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় এইচআরডব্লিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএসএফ
বিএসএফ। ফাইল ছবি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে ওঠা সীমান্ত হত্যার অভিযোগ তদন্তে সেদেশের সরকারের একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। একইসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে বিএসএফসহ নিরাপত্তা বাহিনীকে জাতিসংঘের নীতিমালা মেনে চলতে ভারত সরকারের আদেশ জারি করা উচিত বলেও উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত বিএসএফ সদস্যদের বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকদের নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিএসএফের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ করতে হবে। সীমান্তে সকল মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে নির্দেশিকা নির্ধারণ করেছে সেগুলো বিএসএফের ওপর প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বিএসএফ সদস্যদের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া উচিত।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার সময় ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস দিয়েছিল। ভারত সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযমী হতে এবং বেআইনি হত্যা বন্ধেরও নির্দেশ জারি করেছিল।

বাংলাদেশ ও ভারতীয় বেসরকারি সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর এখনও নিপীড়ন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ।

বাংলাদেশের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ৩৩৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০২০ সালেই ৫১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুম বিবিসিকে জানায়, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ১০৫টি হত্যার তদন্ত হয়েছে। তারা বলছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে।

শেয়ার করুন