মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নয়জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মঙ্গলবার রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকার পর মামলাটি রায়ের জন্য তারিখ ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে। আশা করি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। মামলাটিতে ১১ জন আসামি থাকলেও বিচার চলাকালীন মারা গেছেন দুইজন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এসব অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ ময়মনসিংহের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চার জনকে হত্যা, নয় জনকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন- গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের মো. খলিলুর রহমান মীর, একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী।
বিচার চলাকালীন আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার এবং নুরুল আমীন শাজাহান মারা যান। পলাতক রয়েছেন- এএফএম ফায়জুল্লাহ, মো. আলীম উদ্দিন খান, মো. আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল এবং সিরাজুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।