অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কার করা এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল মহান জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারের টিকাদান কেন্দ্রে এই টিকা নেন তিনি।
টিকা নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সকল ভয়-ভীতি কাটিয়ে নিজেকে এবং দেশকে করোনা মুক্ত রাখতে সরকার নির্দেশিত ওয়েবসাইটে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনার টিকা নেয়া উচিত। করোনা মহামারি প্রতিরোধে অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে জনগণকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি মাত্রায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি-অনিয়ম যেন না হয় সেদিকেও সরকারের দৃষ্টি রাখতে হবে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি আজ টিকা নিয়েছি। আমার এ পর্যন্ত কোনো অসুবিধা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের দোরগোড়ায় টিকা পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।
করোনার টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমদানি নিয়ে যারা সরকারের বিরুদ্ধে ও টিকার মান নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল আপনারা লক্ষ করলে দেখবেন ঐসব গুজব রটনাকারিরাই সবার আগে এই টিকা গ্রহণ করছেন। সুতরাং এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কোনোরূপ সন্দেহ থাকলে তারা নিশ্চয়ই এটি গ্রহণ করতেন না।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলায় প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। পরে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাক্তার আবু সাইদসহ আরো অনেকে টিকা নেন।