চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৫৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি রেকর্ড।
এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬১ শতাংশ অর্থাৎ দেড় গুণেরও বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৩৪ হাজার ২১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।
পুরো অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বিক্রি হয়েছিল ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরে মোট যত টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল তার ৮২ শতাংশ এবার ছয় মাসেই বিক্রি হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের হার কম এবং পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণে গত কয়েক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সঞ্চয়পত্র বিক্রি। এতে সরকারের ঋণের বোঝাও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করেছে। তাছাড়া ব্যাংক হিসাব ছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্র বিক্রির ঊর্ধ্বগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে বিক্রির পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।