রাজধানীর সোয়ারীঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।
দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয় এই উচ্ছেদ অভিযান। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে টিনের ঘর, দোকান, বহুতল ভবনও ভাঙা পড়েছে।
অভিযান চলাকালে গণমাধ্যমকে গুলজার আলী বলেন, ‘বিআইডাব্লিউটিএ’র জমিতে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আজ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।’
উচ্ছেদের সময় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চারপাশে পুরো এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবু প্রচুর উৎসুক মানুষ ভিড় করছে। উচ্ছেদ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, কামালবাগে বুড়িগঙ্গার বেদখল করা জায়গা উদ্ধারে অভিযান শুরু হওয়ার পর স্থানীয় দখলদাররা বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিতে থাকেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা আদালতের কোনো নির্দেশনা দেখাতে না পারায় অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এ সময় রেহানা নামের এক নারী দাবি করেন, এই জায়গা তারা প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার সম্পদ জেনে আসছেন। জমির যথাযথ কাগজও রয়েছে। এরপরও সব ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কামালবাগ চেয়ারম্যানঘাট থেকে সোয়ারীঘাট পর্যন্ত এলাকায় অভিযানকালে দুটি পাঁচতলা, তিনটি চারতলা, দুটি তিনতলা ও একটি দোতলা ভবন, ১১টি আধাপাকা ঘর, ১৫টি আধাপাকা দোকানঘর, ২৫টি টংঘরসহ মোট ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় প্রায় এক একর নদীতীরের ভূমি উদ্ধার করা হয়।