কাটছে স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানির ‘বাধা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাল
চাল। ফাইল ছবি

সীমান্ত দিয়ে চালের ট্রাক প্রবেশে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া এবং চাল আমদানিতে অন্যান্য যেসব অসুবিধা আছে তা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের মহাপরিচালক অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় সভায় জানানো হয়, ভোমরা, হিলি, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, শেওলা, সোনামসজিদসহ যেসব স্থলবন্দর দিয়ে চাল দেশে প্রবেশ করছে সে সব বন্দরে শত শত চালের ট্রাক অপেক্ষমাণ।

অপেক্ষমাণ এসব চালের ট্রাক যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে আতপ চালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি পর্যায়ে আতপ চাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে নন-বাসমতি মোটা আতপ চাল আমদানির অনুমতি প্রদান করা যায় কিনা তা বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এছাড়া ১৩টি জেলার (খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, যশোর, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, সিলেট, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা) জেলা প্রশাসক ও আমদানিকারকদের নিয়ে মিটিং করেছি। এলসি খোলার সর্বশেষ সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারির পর আর কেউ এলসি খুলতে পারবে না বলেও ওই সভায় আমদানিকারকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের (আমদানিকারক) অনুরোধ করা হয়েছে, যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবেন না তারা বরাদ্দ প্রত্যাহার করুন। যারা এর মধ্যে এলসি খুলতে পারবে না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে আমরা নতুন করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেব।

এসময় অর্থমন্ত্রী নন-বাসমতি মোটা আতপ চাল আমদানির অনুমতিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে একত্রে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন।

এছাড়া বর্তমান চালের মজুত পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সংগ্রহের প্রবণতা, চালের আমদানির পরিমাণ, চালের বাজারমূল্য, ওএমএস খাতে বরাদ্দ বিষয় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

শেয়ার করুন