মিয়ানমারের ওপর বাড়ল নিষেধাজ্ঞা, কঠোর অবরোধের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখানেই শেষ নয়, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে তাদের ওপর আরও বড় অর্থনৈতিক অবরোধ আসবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনা পরিচালিত তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে অভ্যুত্থানে মূল ভূমিকা রাখা শীর্ষ দুই সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধিও বাড়ানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

এর আগে, গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশের অনুমোদন দেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিষয়ক মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান ছিল বার্মার (মিয়ানমার) গণতন্ত্রে রূপান্তর এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বার্মার সামরিক বাহিনী যদি অবস্থান না বদলায়, তাহলে আমরা বাড়তি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আরও সহিংসতা হলে বার্মিজ সামরিক বাহিনীর জন্য আজকের নিষেধাজ্ঞা মাত্রই প্রথমটি হবে।

বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাইং এবং ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ সো উইনের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার ওপর অবশ্য ২০১৯ সালেই রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও রয়েছেন মিয়ানমারের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের ছয় সদস্য এবং সেনাবাহিনী ঘোষিত স্টেট কাউন্সিলের চার কর্মকর্তা। এদের মধ্যে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মায়া তুন ও’র নামও রয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা চিরস্থায়ী হওয়া জরুরি নয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, বেআইনিভাবে আটক সবার মুক্তি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

শেয়ার করুন