বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখে পৌঁছেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৮৭ লাখের বেশি মানুষ। করোনার একাধিক টিকা মানুষের হাতে পৌঁছালেও এর প্রকোপ এখনো কমেনি।
গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৩২৪ জনের। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২১ হাজার ৮০৯ জন।
মহামারির শুরুর পর থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের তথ্য হালনাগাদ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, শনিবার সকাল নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১২ হাজার ৩৬৮ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৮ জন। করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ জন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৭০৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫২১ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৮৮ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬০১ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে অদৃশ্য ভাইরাসটি। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার টিকা প্রদান শুরু করেছে। বাংলাদেশেও করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। ৪০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিরা করোনা টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।