পৌরসভা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে আ.লীগ ৪৮, বিএনপি ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌরসভা নির্বাচন
ফাইল ছবি

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে একচেটিয়া জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। রবিবার অনুষ্ঠিত দেশের ৫৫টি পৌরসভার নির্বাচনে ৪৮টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। একটি মাত্র পৌরসভায় জিতেছেন বিএনপির প্রার্থী। আর চারটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। দুটি পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর আসতে থাকে ফলাফল।

৫৫টি পৌরসভার মধ্যে সাতকানিয়া পৌরসভায় আগেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নরসিংদী পৌরসভার চারটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। ফলে এই দুটি পৌরসভার ফলাফল পাওয়া যায়নি।

এর আগের তিনটি ধাপে বিএনপি কয়েকটি পৌরসভায় জয় পেলেও এই ধাপে একমাত্র সাতক্ষীরায় জয় পেয়েছে। দলটির প্রার্থী তাসকিন আহমেদ চিশতি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দ্বিগুণ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন।

নৌকা নিয়ে বিজয়ী যারা

ঠাকুরগাঁওয়ে আঞ্জুমান আরা বেগম, রানীশৈংকলে মোস্তাফিজুর রহমান, পাটগ্রামে রাশেদুল ইসলাম সুইট, জয়পুরহাটের কালাইয়ে রাবেয়া সুলতানা, আক্কেলপুর শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহীর তানোরে ইমরুল হক, তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, নওহাটায় হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাটোরের বড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়ন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির গনু, যশোরের চৌগাছায় নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাটে খান হাবিবুর রহমান।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিমাই চন্দ্র সরকার, সিলেটের কানাইঘাটে লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাইফুল আলম রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তাকজিল খলিফা কাজল, কুমিল্লার হোমনায় অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দিতে নাঈম ইউসুফ শেখ, চাঁদপুরের কচুয়ায় নাজমুল আলম স্বপন, ফরিদগঞ্জে আবুল খায়ের পাটোয়ারী, নোয়াখালীর চাটখিলে মো. নিজামউদ্দিন বিপুল, সোনাইমুড়ীতে নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এম মেজবাহউদ্দিন মিজু, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মো. জোবায়ের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), চন্দনাইশে মাহবুবুল আলম খোকা, পটিয়ায় আইয়ুব বাবুল, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শামসুল হক, বান্দরবান সদরে মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, রাঙামাটি সদরে আকবর হোসেন চৌধুরী।

পটুয়াখালীর কলাপড়ায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশালের বানারীপাড়ায় সুভাষ চন্দ্র শীল, মুলাদীতে শফি উজ জামান রুবেল, শেরপুর সদরে মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া লিটন, শ্রীবরদিতে মোহাম্মদ আলী লাল, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা, কালিহাতীতে নুরুন্নবী সরকার, ময়মনসিংহের ফুলপুরে শশধর সেন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন, করিমগঞ্জে মোসলেমউদ্দিন, হোসেনপুরে আব্দুল কাইয়ুম খোকন।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নজরুল ইসলাম মণ্ডল, নরসিংসদীর মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক, মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে আব্দুস সালাম, নেত্রকোনা সদরে নজরুল ইসলাম খান এবং জামালপুরের মেলান্দহে শফিক জায়েদী রবিন।

স্বতন্ত্র যারা নির্বাচিত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আনিছুজ্জামান আনিছ, লালমনিরহাটে রেজাউল করিম স্বপন, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মনিরুল ইসলাম বাবু, রাজবাড়ী সদরে আলমগীর শেখ। শেষের তিনজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

শেয়ার করুন