মিয়ানমারে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে চতুর্থ ধাপের প্রথম অংশে আরও ২ হাজার ১০ জন ভাসানচরে পৌঁছেছে।
সোমবার দুপুরে নৌ-বাহিনীর পাঁচটি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে তারা ভাসানচরে আসেন। সেখানে জাহাজ থেকে নামার পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌ-বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এই ধাপে আসা দুই হাজার ১০ জনের মধ্যে ৪৮৫ পুরুষ, ৫৭৭ নারী আর ৯৪৮ জন শিশু রয়েছে। ভাসানচরে পৌঁছানোর পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যার হাউজে। সেখানে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন।
চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় অংশে আগামীকাল মঙ্গলবার আরও এক হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এদের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এর আগে ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ছেড়ে যায়। রবিবার কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান এই রোহিঙ্গারা।
ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে তিন দফায় ছয় হাজার ৬৮৮ জনকে নোয়াখালীর অদূরে চরটিতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন; ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়। আর গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার স্থানান্তর করা হয় তিন হাজার ২৪২ জন।