মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে শক্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড হলে ‘ভয়ানক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের উপ-প্রধান সোয়ে উইনের সঙ্গে সোমবার ফোনালাপে এমন হুঁশিয়ারি দেন ক্রিস্টিন। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক।
জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, ওই ফোনালাপে বার্গনার বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। বিক্ষোভকারীরা যেন কোনো প্রতিশোধমূলক আচরণের শিকার না হন। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বিশ্ব সম্প্রদায়। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে মিয়ানমারের সরকারকে ভয়ানক পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বড় বড় শহরে সাঁজোয়া যান ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার অন্যদিনের তুলনায় বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। মঙ্গলবার ছোটখাটো বিক্ষোভ হয়েছে প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে।
অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স নামের একটি অধিকার বিষয়ক গ্রুপ বলেছে, অভ্যুত্থান থেকে সোমবার পর্যন্ত সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে ৪২৬ জনকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার জন্যই ইন্টারনেট বন্ধ করে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
এ বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে আটকের পর এই প্রথম এধরনের কড়া হুঁশিয়ারি দিলো জাতিসংঘ। অভ্যুত্থানের পর প্রথম বহির্বিশ্বের কারো সঙ্গে কথা বললেন দেশটির কোন সেনা কর্মকর্তা।