সরকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টিতে বিএনপিই নিপুন দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশন নাকি সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে, বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় কারও উপর নির্ভরশীল নয়, সরকারের হাতিয়ার হচ্ছে একমাত্র দেশের জনগণ।
বুধবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি যখন জনগণের ভোটের অধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলেন তখন হাসি পায় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্মৃতিতে ভাসে তাদের আমলের সময়ে সৃষ্ট রেকর্ডের কথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের ইতিহাসে ভোটারবিহীন এবং একতরফা নির্বাচনের রেকর্ড গড়েছিল বিএনপিই। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং মাগুরা মার্কা উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি অনিয়মের রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।
বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় সবচেয়ে আজ্ঞাবহ ও বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ছিলেন আজিজ কমিশন। যার প্রমাণ ১ কোটি ২৩ লাখ ভূয়া ভোটার দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন তারা করতে চেয়েছিল।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখুন। এদেশে মানুষের ভোটাধিকার হরনের জনক বিএনপির মুখের কথা মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না।
নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, নিজস্ব ক্ষমতা এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কমিশনকে সহযোগিতা করা।
বিএনপি এ পর্যন্ত পদে পদে বাধা প্রদান ছাড়া একটি শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কোন সহযোগিতাই করেনি উল্টো তারা নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশন যদি বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় তবেই তাদের ভাষায় কমিশন নিরপেক্ষ।
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠা দল আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও এখনও রাজপথ ছাড়েনি জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনও গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা এবং দেশি-বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।