ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সয়াবিন তেল
ফাইল ছবি

অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ ঘোষণা দেন।

universel cardiac hospital

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। সব হিসেব-নিকেশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়।

শক্ত হাতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

তিনি বলেন, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আমাদের দেশে যে তেল ব্যবহার করি তার ৭০ শতাংশ পাম সুপার, যার প্রতি লিটার মিল গেট মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৬ মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিপিং কস্টও বেড়েছে এছাড়া জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনা আরও বেশি যৌক্তিকহারে নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ভোজ্য তেলের মূল্য অস্থিতিশীল থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা প্রতি মাসেই আয়োজন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সভায় বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বিএফটিআই-এর পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্যনীতি) আবু রায়হান আলবেরুনী, এনবিআরের সদস্য(শুল্ক) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিউল আফসার তাজলিম, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআই-এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন