‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে’

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নাটাই-বিরাসার পৌরসভার অংশ না হলেও এই অঞ্চলের কেউ-ই পৌরসভার বাহিরের নয়।আপনারা যারা এই অঞ্চলের মানুষ তারা বুকে হাত দিয়ে বলেন তো, গত পাঁচ বছরের মধ্যে শান্তিতে ছিলেন কিনা? এর পূর্বে প্রায় সময়ই পৌরসভার বাহিরের বাসিন্দারা শহরে এলে ছিনতাইয়ের শিকার হতেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হলে চাঁদা দিয়ে করতে হত কিন্তু নায়ার কবির মেয়র হওয়ার পর এই ঘটনা গুলো বন্ধ হয়েছে। কাজেই আপনারা যদি আগামী পাঁচ বছর শান্তিতে থাকতে চান তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিসেস নায়ার কবিরকে বিজয়ী করতে পৌরসভার প্রত্যেক ভোটারের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন।

মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, নায়ার কবিরের ছেলে আছে, একদিনের জন্যও কী সে কাউকে ডিস্টার্ব করেছে? তাঁর মেয়ে ও মেয়ের জামাইও আছে, তাঁরা কী এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে? তারমানে আপনারা কেউ তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তিনি নিজেও আপনাদের কারও ক্ষতি করেননি। আপনারা কী চান না এই অবস্থা সবসময় ফিরে আসুক?

তিনি বলেন, আমি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, আপনারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ। গতকাল পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের কাছে গিয়েছিলাম, তাঁরাও বলেছেন এই পৌরসভায় এতো শান্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবধরনের কাজকর্ম পূর্বের কোনো মেয়রের সময়েই করতে পারেন নাই।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ যারা আছেন সব লীগের নেত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। আর শেখ হাসিনা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নায়ার কবির। তাজ মোঃ ইয়াসিন, মাহবুবুল আলম খোকন ও সাবেক মেয়র হেলালও প্রার্থী হতে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তারা সবাই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। কারণ তারা সেদিন শপথ নিয়েছিলেন নেত্রী ও দল যাকে মনোনয়ন দিবেন তার বাইরে তারা যাবেন না। আর যারা ওয়াদা ভঙ্গ করে প্রার্থী হয়েছে তাদের সম্পর্কে কিছু বলব না, তা সম্পর্কে হাদিসেই স্পষ্ট করে বলা আছে।

তিনি বলেন, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মানে না, তারা কখনো আওয়ামী লীগের কর্মী হতে পারে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে যারা অমান্য করে তারা আওয়ামী লীগের মঙ্গল চায়না। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তারা কখনো নৌকার বিরোধীতা করতে পারেনা। নৌকার বিরোধীতা করবেন এটা কোন প্রকৃৃত আওয়ামী লীগের কর্মী বা নেতার কাজ হতে পারেনা। জেনে রাখবেন নৌকা সবসময় নৌকা। বঙ্গবন্ধুর নৌকা। সেটা সংসদ, উপজেলা, ইউনিয়ন যেখানেই হউক। নৌকার প্রশ্নে কোন আপোষ করা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে সম্মান পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

এই পৌরসভায় আরেকজন প্রার্থী হয়েছেন কন্ট্রাক্টর জহির। তিনি যে দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেটি হলো আগুন সন্ত্রাসের দল। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল, হঠাৎ তারা বিরাসারে আগুন লাগিয়ে একটা গণ্ডগোল বাঁধাতে চেয়েছে। তারা একবার জোর করে মেয়র নির্বাচিত হয়ে শহরের টাউন খালকে একটা চিপা ড্রেনে পরিণত করেছিল। আমরা আর সেই অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

বিশাল যুব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সহ সভাপতি হাজী তাজ মোঃ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈনউদ্দিন মঈন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, আওয়ামীলীগ নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী মোঃ বাবুল মিয়া, ফখরুল হাসান, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কামরুজ্জামান অপু সহ জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এড. শাহনুর ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ।

শেয়ার করুন