একুশে বইমেলায় প্রথমবার থাকছে গাড়ি রাখার সুবিধা

বিশেষ প্রতিবেদক

বইমেলা
ফাইল ছবি

পাঠক, লেখক, প্রকাশক ও বইপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে এবার। ১৮ মার্চ শুরু হতে যাওয়া অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এ থাকছে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখার সুবিধা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশের দিকে থাকবে এ ব্যবস্থা। মেলায় আগত ব্যক্তি সেখানে কার বা মোটরসাইকেল রেখে মেলায় ঘুরতে ও বই সংগ্রহ করতে পারবেন।

universel cardiac hospital

ওই অংশ দিয়ে এবার মেলায় ঢোকা ও বের হওয়ার সুযোগও রাখা হচ্ছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।

তিনি বলেন, পার্কিংয়ের দাবিটি দীর্ঘদিনের। করোনাকাল ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবার পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হচ্ছে। এবার মেলার নকশাতেও পার্কিংয়ের বিষয়টি স্থান পেয়েছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখানে কতগুলো গাড়ি পার্কিং করা যাবে সেটা এখনই আমরা বলতে পারছি না। তবে সেটা সংখ্যায় কম হবে না।

এ বিষয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, এবার বইমেলাবিষয়ক সভাগুলোতে আমরা পার্কিংয়ের ওপর জোর দিয়েছিলাম।

পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা এবার ব্যবস্থা রাখা সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন। সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক। এতে মানুষের মধ্যে মেলায় আসার আগ্রহ বাড়বে। পাশাপাশি মেলায় যেসব পাঠক, দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশক আসবেন এটি তাদের জন্যও উপকারী হবে।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, একুশে বইমেলার জন্য স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরের করা নকশা বাংলা একাডেমির হাতে এসেছে। সে অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে কাঠামো নির্মাণের কাজ ৯০ ভাগ শেষ।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের কাঠামো নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এবার বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৫৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। যেহেতু ঝড়-বৃষ্টির সময়ে মেলা হচ্ছে সেহেতু পাঠকসহ মেলায় আগতদের সুবিধার্থে তিনটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের মেলায় অন্যবারের মতো বিকালের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পর্ব থাকবে কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল। সে আয়োজন থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ড. জালাল আহমেদ। তবে চিত্রাঙ্কনসহ শিশুদের নিয়ে আয়োজনগুলো থাকছে না। মেলায় কঠিনভাবে মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি।

শেয়ার করুন