নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
আজ শনিবার সকাল ছয়টায় শুরু হওয়া হরতালের সমর্থনে রাস্তায় পিকেটিং করছেন কাদের মির্জার সমর্থকেরা। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকালে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় সাংবাদিকসহ অর্ধশত নেতাকর্মী হন। পরে রাত রাত ৯টায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আহতদের নিজের দলের সমর্থক দাবি করে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আলোচিত এই মেয়র।
আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, এমপি একরাম চৌধুরীর বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে বৈঠক শেষে সন্ত্রাসীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এর মধ্যে বাদলের নেতৃত্বে চাপাশিরহাট ও সবুজের নেতৃত্বে টেকের বাজার হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ আক্রমণ সম্ভব নয়।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এ ঘটনার জন্য মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদেরকে দায়ী করে তার ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, গত তিন মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাবাসী এক ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে আছে। তিনি কখনো হরতাল, কখনো ধর্মঘট আবার কখনো অনশন কর্মসূচি দিয়ে উপজেলাবাসীকে হয়রানি করে আসছেন।
বাদল বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, নোয়াখালীর গর্ব সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রীর স্ত্রী, এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অনবরত কটাক্ষ করে কথা বলে যাচ্ছেন। মির্জা নাকি সত্যবচন করছে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপরাজনীতিতো উনি করছেন। নিজের ইচ্ছেমত বিভিন্ন কমিটি ভাঙছেন আর নতুন কমিটি দিচ্ছেন। আজ বিকালে আমার বাড়িতে আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা চলাকালে মির্জার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার নেতাকর্মীদের গুলি করে আহত করেছে।
নানা বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে শুক্রবার বিকালে চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।