একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে পূর্বসূরী সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার বুকের শোণিতে রাজপথ রঞ্জিত করেছিলেন। এরই পথ ধরে আবহমান বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির শাশ্বত চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল মুজিবের কালজয়ী নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠা পায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, ত্রিশ লক্ষ বাঙালির আত্মাহুতি আর তিন লক্ষাধিক মা বোন কন্যা সহধর্মিনীর সম্মান বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
১৯৭৫ এর মসিলিপ্ত ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে চেতনাগতভাবে পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলে দীর্ঘ ২১ বছর। মুজিব তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ এর জুনে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। আর এ সময়েই কানাডা প্রবাসী বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত, সালাম রফিকের মহতি উদ্যোগের পথ ধরে হাসিনা সরকারের সনিষ্ঠ প্রয়াসে ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার মহান শহীদ দিবস আজ জাতীয় চেতনার ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিকতার মহাসাগরে নীল হয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । পিতা আর পুত্রীর ভালোবাসায় সিক্ত বাংলা আজ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ভাষা, তেমনি এই মহান কর্মের শোণিত ধারায় সিক্ত দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বমানবের মাতৃভাষার এক অবিস্মরণীয় স্মারক।
জয়তু বাংলা ভাষা। জয়তু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।