ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নগরীর মতিহার থানার অক্ট্রোয় মোড় এলাকার ‘লোটাস’ ছাত্রাবাসে থাকতেন।
মৃত শিক্ষার্থীর নাম সাক্ষর সাহা (২৫)। তিনি রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। তার চূড়ান্ত পরীক্ষাও শেষ হয়েছিল। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষ থেকে সাক্ষর সাহার লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রাবাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাক্ষরের বন্ধু সোহেল রানা বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাক্ষর ঘুমাতে গিয়েছিলেন। বেলা ১১টার দিকেও তিনি না ওঠার কারণে ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি। তাই তারা দরজার ওপরে থাকা একটি ভেন্টিলেটর ভাঙেন। এরপর সেখান দিয়ে একটি লাঠি ঢুকিয়ে দরজা খোলেন। ভেতরে ঢুকে তারা সাক্ষরকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে রুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহেল আরও বলেন, তিনি নিজে লোটাস ছাত্রাবাসে থাকতেন না। খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন। যতদূর শুনছেন, তার কাছে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে না। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটি অজানা।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অন্য ছাত্ররা ধারণা করছেন, সাক্ষর স্ট্রোক করেছিলেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। সাক্ষরের পরিবারকেও খবর দেয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের কাছে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।