বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবছর ভিন্ন আবহে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। রাত ১২টা এক মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা। মহামারির কারণে সরকারের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে না আসা ইত্যাদি। তবে এসব নিয়ম মানার তেমন কোনো তোয়াক্কা করেননি সাধারণ মানুষ।
আজ রোববার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে নামে মানুষের ঢল। শ্রদ্ধা জানাতে আসা বেশির ভাগই মানেননি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। মুখের মাস্ক কেউ হাতে, পকেটে, ব্যাগে আবার কেউ থুতনির নিচে ঝুলিয়ে রেখেছেন। অনেকে মাস্ক না পরেই এসেছেন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখে গেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকে আবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে মিছিল ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন। যদিও প্রশাসনের নির্দেশনা ছিল- সংগঠন পর্যায়ে পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক সংগঠনের প্রভাত ফেরিতে পাঁচজনের বদলে ৫০ জনের বেশি সদস্য ছিল।
সরকারি নির্দেশনা থাকার পরেও মাস্ক না পরার কারণ জানতেই চাইলে অনেকেই অজুহাত হিসেবে গরমকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, আমরা মাস্ক পরেই এসেছি। তবে অনেক সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করার কারণে গরম লাগছে, তাই মাস্ক খুলে ফেলেছি। আবার অনেকে বলছেন, আমরা টিকা দিয়েছি। এখন মাস্ক না পরলেও সমস্যা নেই।
তবে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সচেতন অনেককে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতেও দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, স্বাস্থ্যবিধি তারা নিজেদের স্বার্থেই মানছেন। করোনার ঝুঁকি এখনো একদম উড়িয়ে দেয়া যায় বলে মনে করেন তারা।