জাতীয় ভোটার দিবসে নাগরিকদের তাৎক্ষণিক ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই দিন নির্বাচন কমিশনের উপজেলা, আঞ্চলিক, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলেই সরাসরি ভোটার হওয়া যাবে। আগামী ২ মার্চ, মঙ্গলবার দিবসটি পালিত হবে। তবে চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে এবার দিবসটি পালিত হবে স্বল্প পরিসরে।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান সোমবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
গত বছর ঘটা করে এই দিবসটি পালিত হলেও এবার কাটছাঁট হচ্ছে। করোনার কারণে এবার বড় কোনো সমাবেশ থাকছে না। তবে ভোটারদের সচেতন করতে বাংলাদেশে টেলিভিশন এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবে ক্রোড়পত্র। আলোকসজ্জা করা হবে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে। ভবনের আশেপাশের সড়কগুলোতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে। দিবসটিতে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়েই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটার হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার দিবসে কেউ ইসির অফিসে গিয়ে তখনই ভোটার হতে পারবেন। নতুন ভোটারদের নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করা হবে। এরপরই তাদের ভোটার করা হবে। এজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, দেশে তৃতীয়বারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে ভোটার দিবস। আইন অনুযায়ী এর আগে ২ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত কম্পিউটার ডেটাবেইসে থাকা বিদ্যমান সব ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
২০১৮ এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতি বছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এক বছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়।
জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসি।