একজন ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় তুলে আনতে কত শ্রম-সময় ব্যয়, কত বিনিয়োগ করতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। কিন্তু এই ক্রিকেটাররাই যখন তারকা হয়ে যান, তখন তাদের মধ্যে চলে আসে একটা ‘ডেম কেয়ার’ ভাব।
কেউ টেস্ট খেলতে চান না, কেউবা সময়ে অসময়ে ছুটি চেয়ে বসেন। সাকিব আল হাসানই যেমন দেশের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন আইপিএলের লোভনীয় চুক্তিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএলে খেলতে যাবেন বলে বিসিবির কাছ থেকে ছুটিও নিয়ে নিয়েছেন।
ক্রিকেটাররা ছুটি চাইলে তাদের আটকে রাখার উপায় নেই, মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কাউকে জোর করিয়ে খেলিয়ে লাভ হয় না, মাঠের পারফরম্যান্স তো আর চাপ দিয়ে বের করে আনা যায় না। তাই ভবিষ্যতেও কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে খেলতে বাধ্য করা হবে না, আজ (সোমবার) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের সামনে এমনটাই জানিয়েছেন পাপন।
তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন একটি সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন বোর্ড কর্তারা। পাপন জানালেন, সামনে নতুন এক চুক্তিতে নিয়ে আসা হবে ক্রিকেটারদের। সেই চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা থাকবে, কে কোন ফরমেটে খেলতে আগ্রহী, জাতীয় দল ফেলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে যেতে চাইবেন কি না-এমন নানা বিষয়।
বিসিবি সভাপতি জানান, যদি কেউ টেস্ট বা কোনো ফরমেট খেলতে না চায়, তবে আগেভাগেই জানিয়ে দিতে হবে। সেটা হলে ওই বলের চুক্তিতে তাকে রাখাই হবে না। আর যদি কোনো ক্রিকেটার দেশের খেলাকে প্রাধান্য দেবেন, এই চুক্তিতে সই করেন, তবে তাকে ছাড়াও হবে না।
পাপন বলেন, আমরা আজ এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি যে, ওদের (জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের) সাথে একটা চুক্তি তৈরি করব। ওই চুক্তিতে আরও নতুন কিছু জিনিস যুক্ত হবে। ওখানে পরিষ্কারভাবে লেখা থাকবে, যে কে কোন ফরম্যাট খেলতে চায়, তাদেরকে বলতে হবে। এটাও জানতে হবে, তাদের যদি ওই সময়ে অন্য কোনো খেলা থাকে, তাহলে সেখানে খেলবে নাকি দেশের হয়ে খেলবে? এই চুক্তিতে যারা সই করবে, তাদের আমরা যেতে দিব না।
বিসিবি প্রধান যোগ করেন, এখন ব্যাপারটা ওপেন। আগে এটা ছিল ব্যক্তির ওপরে, এখন আমরা কাগজে-কলমে লিখিত নিয়ে নিব। কারো বলার কিছু থাকবে না যে, খেলতে দিল না কিংবা জোর করে যাচ্ছে। এসব বলার কিছু থাকবে না। যে খেলবে না, সে খেলবে না।