ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় হলো প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের। সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসের তরফ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রাজপরিবার ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার একবছর পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেসকে নির্দেশ দিয়েছেন যেহেতু তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ উপাধি ধারণ করেন, সেগুলো তাদের পরিত্যাগ করতে হবে। তাদের এও নিশ্চিত করতে হবে তারা আর ব্রিটিশ রাজ পরিবারে ফেরত আসবেন না।
গত বছরই লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম এই ঘটনাকে ‘মেক্সিট’ আখ্যা দিয়েছিল। তারা তখন জানিয়েছিলেন রাজপরিবারের বাঁধাধরা নিয়মে খাপ খাওয়াতে না পেরে সাধারণদের মতো স্বাধীন চলাফেরা করতেই এমন ঘোষণা করেছেন তারা। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চাইছেন হ্যারি-মেগান দম্পতি।
রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই হ্যারি ও মেগান এমন ঘোষণা করেন।
সন্তান আর্চির বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি এনজিও খোলার পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তারা। হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধাক্কা দিয়েছিল। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি আহত হয়েছিল তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা করেছিলেন তা নিয়ে।
একসময় যুক্তরাষ্ট্রে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন মেগান। কাজের সূত্রে এক সময় টরন্টোতে কাটিয়েছেন। সেখানে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবও আছে। আর রাজপরিবারের জীবনে অনেক কিছুর সঙ্গেই তারা মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। মেগান বলেছিলেন, তিনি বোবা পুতুলটি হয়ে থাকতে চান না। কিন্তু যখনই উচ্চকণ্ঠ করেছেন, তাকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। তাই রাজ পরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।