নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বাদী প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, আমার ছেলেকে কারা হত্যা করেছে আমি দেখিনি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত যেন আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত মুজাক্কিরের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ববাজারে মেয়র মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।