ওপার বাংলার জনপ্রিয় সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের সঙ্গে তার ব্যবসায়ী স্বামী নিখিল জৈনের সম্পর্ক একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। কয়েক মাস ধরে তারা আলাদা থাকছিলেন। নুসরাত দেদারসে মেলামেশা করছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে। সঙ্গত কারণেই গুঞ্জন উঠেছিল, ভেঙে যেতে পারে নায়িকার সংসার।
অবশেষে হলোও তাই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবর, নুসরাতকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্বামী নিখিল জৈন। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে ওই নোটিশ পাঠান তিনি। নিখিল জানান, এই বিষয়ে তিনি এখনই কিছু বলতে চান না। যা বলার পরে বলবেন। অন্যদিকে, নুসরাতও এ ব্যাপারে এখনও কিছু বলেননি।
এদিকে, এখনও নিখিলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন নুসরাত। নিখিল তাতে কোনো দিন বাধা দেননি। যশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো, একসঙ্গে রাজস্থানে আজমীর শরীফে ছুটি কাটাতে যাওয়া- কোনো কিছু নিয়েই মুখ খোলেননি নিখিল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও নুসরাত-বিরোধী কোনো পোস্ট দেখা যায়নি।
বরং ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসের দিনে আকারে ইঙ্গিতে বলেছিলেন, নুসরাত বদলে গেলেও তিনি একই রকম আছেন। কদিন না যেতেই পাঠালেন তালাকের নোটিশ। মনে করা হচ্ছে, বিচ্ছেদের পর নুসরাত মোটা টাকা খোরপোষ দাবি করবেন। কারণ তার অতীতের সম্পর্কেও একই রকম ইতিহাস জানা যায়।
তবে ইনস্টাগ্রাম বলছে, নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা থাকলেও তার বোন নুজহাত জাহানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন নিখিল। তাহলে কি এই বিচ্ছেদ আরও গাঢ় করবে নুসরাত ও যশের সম্পর্ক? যশের সঙ্গেই কি নতুন অধ্যায় শুরু হবে নুসরাতের? সেটা দেখার জন্যই এখন অপেক্ষা।
২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুম শহরে পাম অ্যাভিনিউয়ের ইডেন ইম্পেরিয়ালে কলকাতার সফল ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের গলায় মালা পরান অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তাদের সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিল শুধু দুই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও কাছের কয়েকজন বন্ধু।