অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার দায়ে মিয়ানমারের আরও দুই জেনারেলকে শাস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ভাবার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যাতে সহিংস ধরপাকড় করা না হয়; তা নিশ্চিত করতে জান্তার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো।
সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ব্যবসায়িক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সহিংসতায় প্রাণহানির হুশিয়ারি দিলেও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বিপুল জনসমাগম দেখা গেছে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রু বলেন, জান্তার হুমকি সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভে জড়ো হয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে জেনারেলরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। অতীতে তাদের দমিয়ে রাখা গেলেও এখন আর সেটি সম্ভব না।
মঙ্গলবার আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থান উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় ইউরোপীয় সরকার সমর্থন দিয়েছে। গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছেন তারা।
ব্রাসেলসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, আমরা বসে বসে দেখব—এমনটি না। কূটনীতি ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু দরিদ্র শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো বাণিজ্য অগ্রাধিকার কাটছাঁটে যাবে না তারা।
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। শনিবার দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মান্দালায়ে দুজন গুলিতে নিহত হন। আর এর আগে পুলিশের গুলিতে আহত এক নারী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।