মিয়ানমারে সেনা শাসনের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে জি-সেভেন। এই গ্রুপে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান। এক বিবৃতিতে এই নিন্দা প্রকাশ করেছেন এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত কোনোভাবে মানা যায় না। সেনা যেন সংযত থাকে এবং মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে বিবৃতিতে সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির।
সেনাবাহিনী দেশের শাসনভার নিয়ে নেয়ার পর থেকে মিয়ানমারের শহরগুলোতে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। গণতন্ত্রের দাবিতে এবং তাদের নেত্রী সু চিসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
সেনা শাসকরা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এবং এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা জোর করে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা করছেন। সোমবার গোটা দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ হয়েছিল। মঙ্গলবারও বিক্ষোভ হয়েছে, তবে তা আগের দিনের তুলনায় ছোট ছিল।
- আরও পড়ুন >> নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা এক হাজার ৮৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে সেদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট এই ফেরত পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু আদালতের নির্দেশও সরকার মানেনি।