ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত জানান, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ দেবেন।
এবারের ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকা তামিমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। পরিকল্পনামাফিক জমকালো উদযাপনে বিয়েটাও করে ফেলেন।
বিয়ের সপ্তাহ না গড়াতেই তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান থানায় জিডি করেন। রাকিবের অভিযোগ, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তাদের ৮ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। এটা জেনেও নাসির তার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। বিয়ের আগে তামিমা তাকে ডিভোর্স দেননি।
শুধু তাই নয়, ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত নাসিরকে বিয়ে করার আগে আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন তাম্মি। তার সঙ্গে সংসারও পেতেছিলেন। কিন্তু ছয় মাস সংসার করার পর ফিরে আসেন। এরপর নতুন করে নাসিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সৌদি এয়ারলাইন্সের এ বিমানবালা।
তারপরও সব জেনেশুনেই তামিমাকে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটার নাসির।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নং আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়।
বিয়ের পর হতে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের একজন তোবা হাসান নামে মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হইলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।
মামলায় বলা হয়, ‘চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন।’
এ ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার। ’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা বাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’