বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে এর প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মনে করেন সংস্থাটির প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস। বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই কথা বলেন।
বুধবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহাপরিচালক ড. টেড্রস বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কাঠামোর সম্প্রসারণ ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মহাপরিচালককে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের অন্যান্য সাফল্য এবং সরকারের সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অর্জনের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি ডব্লিউএইচও মহাপরিচালককে অবহিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুসকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত। এছাড়া কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত সরবরাহে দৃশ্যমান ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে এই ভাইরাসটি আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি ভাইরাসটিকে বিশ্ব মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।
বুধবার পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৩৭৯ জন। আর মোট শনাক্ত পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জন।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩ নম্বর।