মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি পড়েছেন কি না; প্রশ্নে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পড়েছি।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শিগগিরই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা এক্সিওসের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওই বিস্ফোরক প্রতিবেদনে বাদশাহ সালমানের সন্তানদের একজন ফেঁসে যেতে পারেন। যদিও কোন সন্তান ফাঁসছেন, সে কথা বলেনি ওই খবর।
খাশোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি বাদশাহর কাছে জানতে চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
২০১৮ সালে অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এই সাংবাদিক। তিনি সৌদি সরকারের নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব দ্য ন্যাশনাল ইন্টেলিজেনসের (ডিএনআই) গোপনীয় প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, খাসোগিকে হত্যা করে তার শরীর টুকরো টুকরো করে ফেলার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত। পশ্চিমা বিশ্বে যিনি এমবিএস নামে পরিচিত।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে পরবর্তীতে বলা হয়, এমবিএস এই হত্যায় জড়িত বলে সিআইএ সিদ্ধান্তে এসেছে। যুবরাজ এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেন। তবে রাষ্ট্রের কার্যত নেতা হিসেবে দায়বদ্ধতা স্বীকার করেন তিনি।
এদিকে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার সমকক্ষ লয়ে অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেন যুবরাজ। কিন্তু বাইডেনের সঙ্গে তার কথা হয়নি।