বিজ্ঞান শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আপনারা বিজ্ঞান শিখুন, বিজ্ঞান সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কোরআনে সমুদ্র বিজ্ঞান সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে, সেখানে গ্রহ নক্ষত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। কাজেই যারা বিজ্ঞানকে পাশ কাটিয়ে চলতে চায় তাদের সাথে ইসলাম ও কোরআনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তেলীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট একাডেমি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দেশের সরকারি মাদ্রাসাগুলো বাদে অন্য মাদ্রাসাগুলোতে বিজ্ঞান পড়ানো হয় না। কিন্তু বিজ্ঞান না পড়ে কেউ নিজেকে মুফাস্সেরে কোরআন দাবি করতে পারেন না, যারা দাবি করছেন তারা কোনো যুক্তিতেই এটি বলতে পারেন না। বিজ্ঞানের বিকাশে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওমর খৈয়াম, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা, গণিতবিদ আল খারিজিমী, মাদানপুরীসহ অসংখ্য মুসলিম মনীষী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে গেছেন। কাজেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের প্রচুর স্টাডি করতে হবে। বিজ্ঞান তেলীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এসময় তিনি তেলীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একটি বিজ্ঞান ভবন ও ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, নারীদের ইসলাম সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। বেহেশতে গেলে মায়ের নামেই সন্তানদেরকে ডাকা হবে। ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মে মায়েদেরকে এতো সম্মান দেওয়া হয় নাই।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজ বাংলা ভাষায় যে বক্তব্য রাখছি তার পিছনে রয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের কাহিনি। এই মাসের একুশ তারিখ আমাদের যারা পূর্বপুরুষ ছিলেন তারা ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। সেদিন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অসংখ্য ছাত্র-যুবা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। এই ভাষা দিবসটি ১৯৯৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। এখন পৃথিবীর যত ভাষাভাষী মানুষ আছেন সবাই এটিকে সম্মান করেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দেশপ্রেম হলো ঈমানের অংশ। দেশপ্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাষ্ট্রভাষা, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা। কিন্তু আমাদের এদেশের এমন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে এখনও বাংলা শেখানো হয় না, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না এমনকি জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয় না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা উচিত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল সালাম।