রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরিসংখ্যানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিসংখ্যানই কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক, জনমিতিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে পরিমাণগত ও গুণগত পরিমাপে পরিসংখ্যানের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
আজ শনিবার ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ পরিসংখ্যানের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ এর প্রতিপাদ্য ‘নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান, টেকসই উন্নয়নের উপাদান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহে বিবিএস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩’ ও এ সংক্রান্ত জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে সর্বক্ষেত্রে দাফতরিক পরিসংখ্যান হিসেবে বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের বাধ্যবাধকতায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে বিবিএসের বস্তুনিষ্ঠ ও সময়োচিত পদক্ষেপ সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশের সব খাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে। জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উদযাপন সফল হোক- এ কামনা করি।