শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ৮৭ কোটি সাড়ে ৫২ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এসব টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শিক্ষা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করছি। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৬৬ কোটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এ বছরও এটি বন্ধ হয়নি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ারও ব্যবস্থা করছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য শিক্ষা খাতে নানাভাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এসব অর্থকে খরচ মনে করে না সরকার; বিনিয়োগ হিসেবে দেখে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রযুক্তি ও কর্মমূখী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দেশে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে অসংখ্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। সে লক্ষ্যে কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে।
এলাকার চাহিদা বিবেচনা করে প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।