গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার শান্তি নষ্ট করাসহ দুটি অভিযোগ এনেছে মিয়ানমারের সেনা সরকার। আটক হওয়ার এক মাস পর প্রথমবারের মতো ভিডিও কলে আদালতে হাজিরা দেন সু চি। এসময়ই তার বিরুদ্ধে আনা নতুন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি।
ঔপনিবেশিক যুগের পেনাল কোডের একটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তথ্য প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের শান্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনতে মিয়ানমারে এই ধারা ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও টেলিযোগাযোগ আইনের অধীনে একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
আটক হওয়ার পর এ নিয়ে সু চির বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দায়ের হলো। এর আগে সু চির বিরুদ্ধে মূলত অবৈধভাবে ওয়াকি টকি আমদানি ও মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের দুটি অভিযোগ আনা হয়েছিলো।
সোমবার প্রথমবারের মতো আদালতে শুনানি হলেও এর আগে সু চির সঙ্গে তার আইনজীবীরা দেখা করতে পারেননি। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ মার্চ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর থেকে টানা বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষ। গতকাল রোববার বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বনেতারা।