ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি সরে দাঁড়িয়েছে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

জনগণ ভোট দেবে না এটা জেনে বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের পক্ষে।

আজ সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

universel cardiac hospital

দেশের বিভিন্ন চলমান প্রকল্প আজ দৃশ্যমান, তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে তারা একটাও উন্নয়নের সফলতা দেখাতে পারেনি, তাই তাদের রাজনীতিতে এখন খরা লেগেছে।

বিএনপির সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সারা বিশ্বে আজ সমাদৃত তখন বিএনপি নেতারা সরকার হঠানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এখন অন্ধকারে চোরাগলি খুঁজছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। দেশে এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই, শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনের রাজনীতি সরকারবিরোধী রাজনীতিকে ইস্যু সংকটে ফেলে দিয়েছে। বিএনপি আন্দোলনের কোনো যুৎসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে ডুবন্ত মানুষের মতো এটা-সেটা আঁকড়ে ধরার অপচেষ্টা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ভালোবাসা, দেশপ্রেম আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের কঠিন মনোবল নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে।’ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের প্রত্যেকের বিকল্প থাকলেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তেমনই বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতেও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের আস্থার সোনালী দিগন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অভিযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠে আসতে পেরেছে, যা শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি সোনালি পলক।

ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্রের ৩৫(১)ধারা অনুযায়ী মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সকল ইউনিটের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করতে হবে এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরবর্তী তিন মাস পরে ওয়ার্ড সম্মেলন ও থানা সম্মেলন করতে হবে।

শেয়ার করুন