আগামীকাল মঙ্গলবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস। এ দিন সর্বশেষ হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১ মার্চ) ইসির যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাতীয় ভোটার দিবসে ২০২০ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে তালিকাভুক্ত ভোটার ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। ইসি থেকে গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত নতুন নিবন্ধন করা ভোটার ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬ জন। এতে হালনাগাদের পর দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
সেই হিসাবে দেশে মোট ভোটার দাঁড়াবে ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৩ এবং নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৭০ জন। আপিলে কিছু যোগ-বিয়োগ না হলে মঙ্গলবার (২ মার্চ) এটাই চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করবে ইসি।
ভোটার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় নির্বাচন ভবনের সামনের চত্বর থেকে বেলুন উড়িয়ে কমিশন ভোটার দিবস উদযাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবে।
এ উপলক্ষে ২ মার্চ সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ভোটার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে ও নির্বাচন কমিশনাররা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ।
এছাড়া বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেবেন। উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হবে।
জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে নির্বাচন ভবন ও মাঠ পর্যায়ের অফিস ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং ভবনের সামনের রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঢাকাসহ আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, ভবনসমূহে আলোকসজ্জাকরণ, প্রিন্ট মিডিয়ায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থানে ব্যানার ঝুলানো ইত্যাদি।
জাতীয় ভোটার দিবস ২০২১ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বাণী দিয়েছেন।
২০১৩ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচনবিষয়ক সংগঠন ফেমবোসার ( FEMBoSA ) চতুর্থ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্য দেশগুলো জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপরই মূলত জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়।