চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের ভাঙচুর

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে ভাঙচুর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নেতা–কর্মীরা অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোয়াছিবাগান এলাকার মেডিকেল মেইন হোস্টেল নামে পরিচিত ছাত্রাবাসটিতে এ ভাঙচুর হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটার দিকে দোতলার কিছু কক্ষে অতর্কিত ভাঙচুর এবং কক্ষের জিনিসপত্র তছনছ করে কয়েকজন ছাত্র। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই পক্ষ হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রাবাসের ভেতর। এক পক্ষ অপর পক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দোতলায় ছয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। তৃতীয় তলায়ও ছয়টি কক্ষ তছনছ করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা জানান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার জন্য আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা নওফেলপন্থীদের দায়ী করেন। এ পক্ষের নেতা অনির্বাণ দে ও আসিফ বিন তাকি রিফাত বলেন, অতর্কিত তারা এ হামলা চালিয়েছে। তারা চেয়েছে আমাদের হল থেকে বের করে দিতে। এই ক্যাম্পাস আ জ ম নাছির উদ্দীনের ঘাঁটি। আমাদের ছেলেদের রুম প্রথম ভাঙচুর করে তারা।

অন্যদিকে নওফেল সমর্থক পক্ষের শামীম আহমেদ বলেন, তারা প্রথম আমাদের ছেলেদের দুটি কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে। এরপর উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরাও তাদের কক্ষে যাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি পক্ষ পরস্পরের কক্ষ তছনছ করেছে। আধিপত্য বিস্তারের জন্য এটা করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার নেই।

শেয়ার করুন